বলছি একজন সুপার ডোনারের কথা!
আমার এলাকায় একজন রোগীর বালিয়াডাঙ্গী
সদর হাসপাতালে রক্তশূন্যতা ও টিউমার এর রোগির জন্য ৩ ব্যাগ ও নেগেটিভ রক্তের প্রয়োজন ছিলো!
দুই ব্যাগ কোনো ভাবে ম্যানেজ হলেও এক ব্যাগ কাল হয়ে দাঁড়ায়!
অনেক খোঁজাখুঁজি করে যখন পাচ্ছিলাম না তখন হঠাৎ করেই মনে পরলো জাকারিয়া ভাইয়ের কথা। আরে ভাইয়ের তো ও নেগেটিভ!
দিলাম ফোন। জাকারিয়া ভাই বললেন “আমি কোনোদিন ঠাকুরগাঁও যাই নি বালিয়াডাঙ্গী তো পরের কথা!”
যদি আমাকে নিয়ে যেতে পারে আমার দিতে কোনো সমস্যা নেই।
কিন্তু পথ তো আর একটু না। তাও আবার রমজান মাস। জাকারিয়া ভাইয়ের বাড়ি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাওলাগঞ্জে। সেখান থেকে বালিয়াডাঙ্গীর দূরত্ব প্রায় ৮৮ কিলোমিটার।
দুপুরে রক্তবন্ধুর পঞ্চগড় প্রতিনিধি ছোট ভাই আবু মুসাকে ফোন দিয়ে বললাম কই তুই? “সে বললো এইতো ভাইয়া ঠাকুরগাঁও যাচ্ছি, আমার জন্য একটা ও পজিটিভ রোগী দেন! আমার ও পজিটিভ রক্ত দেয়ার সময় হয়েছে।”
তাকে বললাম ওয়েট কর। ও পজিটিভ কারো লাগবে কি না খুঁজতেছি। আর আমার এলাকায় একটা ও নেগেটিভ লাগবে ডোনার ঠাকুরগাঁও চিনে না তাকে একটু সাথে করে নিয়ে আয়।
মুসা সম্মতি সূচক হ্যাঁ বলে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকলো দেড় ঘন্টা।
কারণ ডোনার যেখান থেকে আসবে সেখান থেকে পঞ্চগড়ের বোদায় আসতে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা!
বোদা থেকে ঠাকুরগাঁও আরো ৪৫ মিনিটের রাস্তা।
অবশেষে তারা দুইজন ২ টার দিকে ঠাকুরগাঁয়ে পৌঁছালে তাদেরকে বাইকে করে ঠাকুরগাঁও থেকে বালিয়াডাঙ্গী পর্যন্ত নিয়ে আসেন আমাদের আরেক রক্তবন্ধু এস এম কমলেশ ভাই।
একে তো রোজা তারপরও আবার ৮৮ কিলোমিটার জার্নি যেখানে লক ডাউনে ভেঙে ভেঙে আসতে হয়েছে 😢
সব মিলিয়ে একটি সফল দিন, হ্যাপি ব্লাড ডোনেটিং ❤️
আমরা রক্তবন্ধু, রক্তের সম্পর্ক গড়ি
ইরফান পাঠান
সহ পরিচালক, রক্তবন্ধু
ঢাকা।
(আমাদের রক্তবন্ধু ব্লগ থেকে লেখাটা কপি করলাম।)
إرسال تعليق