"নওগাঁ ব্লাড সার্কেল" একটি স্বেচ্ছাসেবী সেবামূলক সংগঠন। কাজ করছে তারুণ্যের ইতিবাচক বিকাশে। স্বপ্ন দেখে সুন্দরতর সমাজ বিনির্মাণের। বিস্তারিত জানুন...

"প্রথম বার তাই একটু ভীত ছিলাম" - রাহাদ হাসান আকাশ

রাহাদ হাসান আকাশ
ছবি: রাহাদ হাসান আকাশ

আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া যে তিনি আমাকে একটি ভালো কাজের অংশ হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।


আসসালামু আলাইকুম। শুরু করা যাক আমার গল্পটা। "রক্তদান" শব্দটি নিয়ে আগেও ভাবতাম। যে রক্ত দিলে কী মানুষ শরীরে রক্ত কমে না? রক্ত দেওয়ার সময় কী খুব কষ্ট হয়? টেলিভিশন বা ফেসবুকে, এমনকী স্কুল জীবনেও রক্তদান নিয়ে তেমন কোনো ধারণা পাইনি। আমার বড় আপুর বাচ্চা ডেলিভারির সময়। তখন রক্তের প্রয়োজন পরেছিলো। বিভিন্ন জায়গায় রক্তের খোঁজ করা হয়। আলহামদুলিল্লাহ, অনেকেরই সাড়া পেয়েছিলাম। তারপর থেকে আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিই যে, যদি কখনো রক্ত দেওয়ার সুযোগ পাই, আমিও দিব, ইনশাআল্লাহ। পরবর্তীতে কলেজে ওঠার পর, একদিন কলেজে এক বড় ভাই এলেন। সৈয়ব আহমেদ সিয়াম, পড়েন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরিচয় শুনে একটু আগ্রহ জেগেছিল, পরিচয় শুনে একটু আগ্রহ নিয়েই শুনলাম তার কথাগুলো। রক্ত নিয়ে নানা আলোচনা করলেন। "কারা রক্ত দিতে পারবে, কখন দিতে পারবে, রক্ত দিলে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় কী না, রক্ত দিলে কী লাভ" ইত্যাদি ইত্যাদি।  ভাইয়ের কথাগুলো শোনার পর, রক্তদান বিষয়ে সব ধারণা পরিষ্কার হয়ে যায়।


কলেজে আসা মাত্র প্রায় ২ মাস। সবাইকে তো ঠিকঠাক চিনিও না। তারিখটা ছিলো ৭ মে, ২০২৩। কলেজ সিনিয়র ওমর ফারুক ভাই জানালেন, এক থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বাচ্চার জন্য রক্ত প্রয়োজন। প্রথম বার তাই একটু ভীত ছিলাম। তবে রক্তদান শেষে সত্যিই অনেক ভালো লেগেছিলো, একদম মন থেকেই। বাসায় কাউকে না জানিয়েই রক্ত দিছিলাম। পরে আমার আপুকে জানাই। বাবা মা এখনো বিষয়টি জানেন না।


আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া যে তিনি আমাকে একটি ভালো কাজের অংশ হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি এখন "নওগাঁ ব্লাড সার্কেল" এর একজন সদস্য হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। নিঃসন্দেহে "নওগাঁ ব্লাড সার্কেল" একটি ভালো ও সেবামূলক সংস্থা। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পাশে আছি আর সব সময় থাকব, ইনশাআল্লাহ।


- রাহাদ হাসান আকাশ
শিক্ষার্থী, নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, নওগাঁ
সিভিল, ২০২২-২৩ সেশন


1 تعليقات

إرسال تعليق

أحدث أقدم