ফ্রম: সৈয়ব আহমেদ সিয়াম
"আমি এমনিই ঘোরাঘোরি করছিলাম হাসপাতালে। হঠাৎ দেখি একের পর রিকশা ঢুকতেছে আহতদের নিয়ে। এক্সিডেন্ট হয়েছে জলিল পার্কের সামনে, হানিফ বাসের সাথে তিনটা অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষ। রিকশাওয়ালারা কোনো ভাড়া নেননি। আমি জরুরী বিভাগে নিয়ে রোগীদের ভর্তি করালাম।" বলছিলেন বিডি ক্লিন নওগাঁর সমন্বয়ক মোঃ রায়হান।
রায়হান নওগাঁ ব্লাড সার্কেলের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে নক দেওয়ার পরপরই আমিও রওয়ানা দিলাম হাসপাতালের উদ্দেশ্যে। গিয়েই দেখি ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মুহাম্মদ ফরহাদ আলম ভাই, তালহা ভাই, সাগর ভাই, নওগাঁ ব্লাড সার্কেলের মোঃ হাবিব আহমেদ তাজ, মোঃ রবিউল সরদার, আবরার রাকিন, মাওলানা নাহিদ হাসান, মাউন মোহাম্মদ তামিম, আলামিন রহমান, শাহনেওয়াজ রক্সি, তাইয়েব তানজীম, আরাফাত রহমান হিমেল, কৌশিক সাহা, আরমান হোসেন, তুহিন রেজা মাসুম বিল্লাহ ও মোঃ তাসলিমুল হাসান লেমন সহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবীরা উপস্থিত। রোগীর স্বজনদের কান্নাকাটিতে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থমথমে। স্বেচ্ছাসেবীরা রেফার্ড করা রোগীগুলোকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিচ্ছেন। ফরহাদ ভাই রোগীর স্বজনদের সান্ত্বনা দিচ্ছেন, দোয়া করতে বলতেছেন। ১৩ জন রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হলো। রাকিন একদম ঘেমে চুপছে গেছে। বিরতি নাই তবুও।
এসেছেন রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার তানজিদ সম্রাট ভাই। আওয়ামীলীগ ও বিএনপির চেনা অচেনা অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন রোগীদের। রিপন ভাই, মানু ভাই, শিউল ভাই, পিটু আঙ্কেল সহ অনেকেই ছিলেন পাশে। সবার এই পাশে থাকা অনেক সুন্দর ঠেকেছে আমার কাছে। অবাক করা বিষয় ছিলো রাণীনগর থেকে ছুটে এসেছিলেন আঁধারে আলো সংগঠনের মোঃ সাজু হোসেন ভাই সহ কয়েক জন।
স্বজনদের কান্নাকাটি আহাজারির মাঝেও তরুণদের এই সহযোগিতা আশা জাগানিয়া। আপনাদের হাত ধরে গড়ে উঠুক আগামীর নওগাঁ। জাযাকাল্লাহু খয়রান।
إرسال تعليق