আমি ফেসবুকে অনেক সময় রক্তদানের ছবি দেখতাম। তখন থেকেই আমার মনে রক্তদানের অনুভূতি সৃষ্টি হয়। হঠাৎ একদিন এক ভাইয়ের নিকটাত্মীয়ের বি পজিটিভ রক্তের প্রয়োজন হয়। আমাকে রক্তদানের কথা বলে। প্রথমে সংকোচ বোধ করি। কিন্তু, পরে সেই জড়তা কাটিয়ে রক্তদানের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাই। তারপর, প্রস্তুতি নিউ জীবনের প্রথম রক্তদানের। প্রথমে খুবই ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু, আমার সাথে থাকা আলামিন ভাই খুবই সাহস দিয়েছিলেন। এইজন্য পরে আর তেমন ভয় লাগেনি। নির্ভয়ে রক্ত দিতে পেরেছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ। প্রথমবার রক্ত দেওয়ার পর যে অনুভূতি, তা বলে প্রকাশ করা যাবে না। খুবই ভালো লেগেছিলো, এবং ব্লাড দেওয়ার পর যখন রোগীর আত্মীয় কাছে এসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে যে দোয়া ও ভালোবাসা প্রকাশ করলো, এটার তুলনা হয় না। এরপর থেকে পরবর্তী রক্তদানের সময় পর্যন্ত অস্থিরতা লাগে যে, কখন আবার রক্তদানের সময় হবে? এমনই রক্তদান নিয়ে আমার অনুভূতি।
নতুনদের জন্য বলবো যে, আমাদের রক্তদান হওয়া উচিত একমাত্র আল্লাহর সন্তষ্টির জন্য। রক্তদানের উপকারিতা আমাদের অনুভব করা উচিত। এক ব্যাগ রক্ত দিতে মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিট সময় লাগে। এই অল্প সময়ে চাইলেই একজনের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। এভাবে সবাই বুঝতে শিখলে দেখা যাবে প্রতিনিয়ত আমাদের নতুন নতুন সদস্য বৃদ্ধি পাবে, ইনশাআল্লাহ। আমি রক্তদান করতে পেরে আল্লাহ তায়ালার কাছে অনেক বেশি কৃতজ্ঞ। মানুষের শরীর থেকে রক্ত এমনি নষ্ট হয়ে যায়। আর আমি সেই রক্ত নষ্ট না করে একজনের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করছি, এটা সত্যিই অনেক বড় কিছু। অনেক অনেক বেশি ধন্যবাদ জানাই নওগাঁ ব্লাড সার্কেলকে! সৈয়ব আহমেদ সিয়াম ও সাব্বির আহমেদ ইমন ভাইকে। জাযাকাল্লাহু খয়রান।
- মোঃ জাকির হোসাইন
সাধারণ সম্পাদক, নওগাঁ ব্লাড সার্কেল, আত্রাই শাখা (২০২২-২৩ সেশন)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন